আবেদন করুন আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান সর্বোচ্চ ৬০০০০ টাকা অনুদান।

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আদিত্য বিড়লা ফাউন্ডেশনের তরফে এক বিশেষ স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে, যা সমগ্র দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ প্রোগ্রাম নামেই বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। আর আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপের সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি হল, এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীর কোন বিশেষ নম্বরের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ সমগ্র ভারতের যেকোনো ছাত্র বা ছাত্রী এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন। আর তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ সম্পর্কিত সমস্ত প্রকার তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক যোগ্যতা কি কি?

১. প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে স্নাতক স্তরে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে জানিইয়ে রাখি যে, স্নাতক স্তরে জেনারেল কোর্সে পড়াশোনা করছে এইরূপ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রফেশনাল কোর্সে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন।
২. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন।
৩. যেসকল ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকা বা তার তুলনায় কম তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন।
৪. কোভিড মহামারী চলাকালীন যেসকল ছাত্র-ছাত্রীর পিতা অথবা মাতা কিংবা উভয়েরই মৃত্যু ঘটেছে তারাই কেবলমাত্র স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপের অধীনে কত টাকার অনুদান পাওয়া যায়?

ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনের সুবিধার খাতিরে আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপটিকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, আর এই ২ টি বিভাগ হল আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ ফর স্কুল স্টুডেন্টস এবং আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ ফর কলেজ স্টুডেন্টস।

১. আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ ফর স্কুল স্টুডেন্টস:- এই স্কলারশিপের আওতায় প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন ২৪,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের এককালীন ৩০,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।

২. আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ ফর কলেজ স্টুডেন্টস:- এই স্কলারশিপের আওতাধীন স্নাতক স্তরে জেনারেল কোর্সে পাঠরত শিক্ষার্থীদের এককালীন ৩৬০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়। আবার স্নাতক স্তরে প্রফেশনাল কোর্সে পাঠরত শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপের অধীনে এককালীন ৬০,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:- নিজের কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আজই আবেদন করুন সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার আওতায়।

আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া:-

আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানানোর জন্য ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই BUDDY4STUDY -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/aditya-birla-capital-covid-scholarship-program -এ যেতে হবে। এরপর BUDDY4STUDY -এর হোম পেইজে আপনি আদিত্য বিড়লা স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার তথ্য দেখতে পাবেন। এই সমস্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পড়ে নিয়ে আপনার যোগ্যতা অনুসারে স্কলারশিপ নির্বাচন করে Apply Now অপশনে ক্লিক করুন। উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে আপনাকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে Login -এর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন এবং Start Application অপশনে ক্লিক করুন।

aditya-birla-capital-covid-scholarship

উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সামনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি চলে আসবে। এই ফর্মটিতে আপনাকে আপনার নাম, পিতার নাম, গ্রাম, জেলা, রাজ্য, সাব ডিস্ট্রিক্ট, পিন কোড, পুলিশ স্টেশন, পরিবারের বাৎসরিক আয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এছাড়াও ফর্মে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি আপলোড করুন। উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে আদিত্য বিড়লা স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আদিত্য বিড়লা স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:-

১. বিগত পরীক্ষার মার্কশীট। (প্রথম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে না)
২. ভারত সরকারের তরফে কার্যকরী যেকোনো আইডেন্টিটি প্রুফ (ভোটার কার্ড/ প্যান কার্ড /আধার কার্ড /ড্রাইভিং লাইসেন্স)।
৩. বর্তমান বছরে ভর্তির রশিদ (ফি রিসিট/ অ্যাডমিশন লেটার/ আইডেন্টিটি কার্ড/ Bonafide Certificate)
৪. পিতা অথবা মাতা কিংবা উভয়েরই মৃত্যুর সার্টিফিকেট।
৫. আবেদনকারী কিংবা আবেদনকারীর অভিভাবকের ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত ডিটেইলস।
৬. পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৭. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

আবেদনের সময়সীমা:-

চলতি শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপে আবেদনের প্রক্রিয়া কবে কার্যকর করা হবে তা সম্পর্কে কোন প্রকার তথ্য এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Covid 19 -এ যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পিতা-মাতাকে হারিয়েছেন তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার নিশ্চিত করার জন্যই আদিত্য বিড়লা ফাউন্ডেশনের তরফে আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল কোভিড স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে, এমনটাই জানানো হয়েছে, আদিত্য বিড়লা ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের তরফে। ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে আদিত্য বিড়লা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে।

Leave a Comment