সমগ্র ভারতের আর্থিকভাবে অসহায় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করার জন্য কার্যকরী স্কলারশিপ গুলির মধ্যে ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে কার্যকরী ভিভো ফর এডুকেশন স্কলারশিপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মূলত ভারতের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে। তবে এই স্কলারশিপের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনাকে স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক যোগ্যতা, আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি, আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে জানতে হবে। আর তাই আজকের এই পোস্টে আমরা ভিভো স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
ভিভো স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যিক যোগ্যতা:-
অন্য সমস্ত বেসরকারি স্কলারশিপের মতই ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে কার্যকরী এই ভিভো স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রেও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিভো স্কলারশিপের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যে শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে তা হল:
১. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে দশম শ্রেণীতে কিংবা দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন তারাই কেবলমাত্র ভিভো স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
২. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নবম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় নূন্যতম ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৩. ভিভো স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী ছাত্র কিংবা ছাত্রীর পরিবারের বাৎসরিক আয় ৪ লক্ষ টাকা কিংবা তার তুলনায় কম হতে হবে।
৪. শুধুমাত্র তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীরাই ভিভো স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন, এমনটাই জানানো হয়েছে ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে।
ভিভো স্কলারশিপের অধীনে কত টাকার অনুদান পাওয়া যাবে?
ভিভো ইন্ডিয়ার তরফে কার্যকরী এই স্কলারশিপের অধীনে ছাত্রছাত্রীরা এককালীন ১০ হাজার টাকার অনুদান পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন:- চা সুন্দরী প্রকল্পের অধীনে মিলবে বিনামূল্যে জমি এবং বাড়ির সুবিধা। বিস্তারিত জেনে নিন।
ভিভো স্কলারশিপের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য কিভাবে আবেদন জানাবেন?
ভিভো স্কলারশিপের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আপনাকে প্রথমেই BUDDY4STUDY -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/vivo-for-education-scholarship -এ পৌঁছে যেতে হবে। এক্ষেত্রে BUDDY4STUDY -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মূল পেজে আপনি ভিভো স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার তথ্য পেয়ে যাবেন। ভিভো স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে উক্ত স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পড়ে নিয়ে এই পেজের নিচের দিকে থাকা Apply Now অপশনে ক্লিক করুন। উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে যে নতুন পেজটি আসবে তাতে আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস অথবা ফোন নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। তবে আপনি যদি ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে থাকেন তবে আপনার ফোন নম্বর কিংবা ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে লগইন -এর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন।
রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে আপনাকে vivo for Education Scholarship -এর অফিসিয়াল পেইজে ডাইরেক্ট করা হবে এবং আপনার সামনে আসা Start Application বাটানে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি উক্ত স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি পূরণের প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারবেন। ভিভো স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার গ্রাম, পিনকোড, পোস্ট অফিস পুলিশ স্টেশন, জেলা, সাব ডিস্ট্রিক সহ আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত সমস্ত এবং উল্লেখিত অন্যান্য তথ্যগুলি নির্ভুলভাবে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ফর্মে উল্লিখিত সমস্ত নথিগুলি সঠিকভাবে আপলোড করুন এবং Terms and Conditions এর চেকবক্সে ক্লিক করে Preview অপশনে ক্লিক করুন। Preview অপশনে ক্লিক করলে ফর্মের সমস্ত তথ্য এবং সমস্ত নথি আপনার সামনে চলে আসবে, এক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য এবং নথি ঠিক থাকলে Submit অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন।
ভিভো স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি:-
১. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীর আধার কার্ড।
২. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর নবম শ্রেণী অথবা একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মার্কশীট।
৩. বর্তমান বছরে ছাত্র বা ছাত্রী যে শ্রেণীতে পাঠরত তাতে ভর্তি হওয়ার রশিদ।
৪. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৫. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত প্রকার তথ্য।