আইনজীবী হতে হলে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, জেনে নিন এখনই।

সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমন বহু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা ভবিষ্যতে আইনজীবী রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু জীবনে যেকোনো উচ্চতায় পৌঁছাতে গেলে উক্ত ক্ষেত্রে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সিঁড়ি কিংবা ধাপগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হয়। একইভাবে উকিল হওয়ার জন্যও কোন কোর্সের আওতায় পড়াশোনা করতে হবে, কোন বিষয়গুলি নির্বাচন করা প্রয়োজন তা সম্পর্কে সমস্ত প্রকার তথ্য জানতে হয়। আর তাই আজকের এই পোস্টে আমরা উকিল হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয় নিয়ে কোন কোর্সের আওতায় পড়াশোনা করতে হবে তা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক উকিল হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে:-

ডাক্তার হোক বা ইঞ্জিনিয়ার অথবা স্কুল শিক্ষক যেকোনো পেশায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের পরে বিশেষ কোর্স কিংবা বিশেষ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা হলেও, সমগ্র প্রক্রিয়াটির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় মাধ্যমিকের পর থেকেই। কিন্তু উকিল হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাইন্স অথবা আর্টস কিংবা কমার্স যেকোনো একটি বিভাগের অধীনে পড়াশোনা সম্পন্ন করলেই উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর উকিল হওয়ার জন্য নির্ধারিত কোর্সের অধীনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আর্টস, সায়েন্স কিংবা কমার্স সহ যেকোনো বিভাগে নূন্যতম ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হলে আপনি ল-কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

to-become-a-lawyer

এছাড়াও যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বায়োসাইন্স, জিওসাইন্স রয়েছে তারাও উচ্চমাধ্যমিকে ৪৫% নম্বর পেলেই ল অথবা আইন নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এমনকি ভোকেশনাল কোর্সের আওতাধীন ছাত্র-ছাত্রীরাও ন্যূনতম ৪৫% নম্বর পেলেই ল অথবা আইনে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে আর্টস কিংবা কমার্স অথবা সাইন্সের মতো বিভাগগুলির অধীনে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করছেন, তারা স্নাতকস্তরের ফাইনাল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪৫% নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণ হলেই আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোর্সের অধীনে ভর্তি হতে পারবেন। সুতরাং যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পর স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছেন তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই, তারা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরেও আইন বা ল নিয়ে পড়তে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আইনজীবী রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ছাত্রীরা এককালীন ২৫,০০০ টাকার অনুদান পাবেন।

তবে এক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণীর পরে ছাত্র-ছাত্রীদের BA LLB কোর্সের আওতায় ভর্তি হতে হবে। এটি একটি পাঁচ বছরের কোর্স এবং উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৪৫% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি এই কোর্সের অধীনে ভর্তি হতে পারবেন। অন্যদিকে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার পরে ল নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তারা LLB কোর্সের মাধ্যমে ল অথবা আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উক্ত ছাত্র অথবা ছাত্রীকে মাত্র ৩ বছরের জন্য LLB কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করতে হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখিয়ে যে, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত জুড়ে একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি ল কলেজ রয়েছে।

এক্ষেত্রে সরকারি কলেজগুলির আওতায় আইন অথবা ল পড়ার জন্য যেকোনো ছাত্রকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং এই এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা আইন অথবা ল নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের তরফে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী ঠিক করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে অথবা নম্বর শতাংশ অনুসারে সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের LLB অথবা BA LLB কোর্সের অধীনে ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। সুতরাং আপনিও যদি আগামী দিনে নিজেকে আইনজীবী প্রতিষ্ঠিত করতে চান তবে বিষয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা না করে উচ্চমাধ্যমিক এবং আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভালো নম্বর শতাংশ সহকারে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ দিন।

Leave a Comment